এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: হাত নেই পা নেই। তবুও শিশু বয়সে ছবি এঁকে সংসারের খরচ যোগান দিচ্ছেন রাসেল। তার বয়স পনের কিংবা ষোল। সে চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা এলাকায় রাস্তার পাশে বসে বিভিন্ন ছবি আঁকতে দেখা গেছে। তার গ্রামের বাড়ী বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায়। রাসেল শহরের জামতলা খালার বাসায় থাকে। তার বাবা-মা ঢাকার মালিবাগে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তাদের ৩ ভাই ৩ বোনের সংসার।
দশ বছর বয়সে কমলাপুর রেলষ্টেশন এলাকায় খেলা করার সময় ট্রেনের চাকায় পড়ে দুই হাত ও পা কাটা যায়। বর্তমানে প্রতিবন্ধী হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সে ১ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা-পড়া করলেও তার রয়েছে অসম্ভব মেধা ও মননশীলতা। অকপটে যে কোন বিষয় বলার সাথে সাথে তা কাগজে এঁকে ফেলে। কথা বলতে পারলেও তার মধ্যে রয়েছে জড়তা। তার এই প্রতিভা দেখতে শত শত স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছেলে-মেয়েসহ পথচারীদের দাঁড়িয়ে নগদ সাহায্য করে আসছে।
জানতে চাইলে প্রতিবন্ধি রাসেল জানায়, দৈনিক দুই বেলা চিত্রলেখার মোড়ে এসে বসেন। আর সাথে কয়েক খন্ড কাগজ ও পেন্সিল নিয়ে আসেন। নিজে প্রজ্ঞায় আঁকেন ছবি। দৈনিক ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যস্ত সাহায্য পেয়ে থাকেন। তার বাবার নাম মো: বাবুল মিয়া। মাতা-রেনু বেগম। তার বাবা কোন কাজ করে না। মা বিভিন্ন বাসায় ঝিয়ের কাজ করে। তার বড় ২ ভাই বিভিন্ন কাজ করলেও বোন তিনটি ৭ম, ৬ষ্ঠ, ১ ম শ্রেণীতে লেখা-পড়া করছে।
রাসেলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার সকল অতীতের সকল কথা। অকাতরে বলে চোখের জল ছেড়ে দিলেন। সে নিজের চেষ্টায় ছবি আঁকা ও লিখতে শিখেছে। সে অন্যন্য শিক্ষার্থীদের মতো লেখাপড়া করতে চায়। তবে ভিক্ষা করে রোজগার না করলে খাওয়াবে কে?
তার ইচ্ছার বিষয়ে জানতে চাইলে এক বেলা ভিক্ষা করে আয় ও আরেক বেলা স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই প্রতিভাবান রাসেলের আগ্রহ পূরুণ হবে কি?